Bangladesh ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরের ওয়ার্ড ভিত্তিক বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত। মুরাদনগরে নি’র্যা’তি’ত সেই নারীর বাড়ীতে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ হঠাৎ কেন মামলা চালিয়ে যেতে চান কুমিল্লা মুরাদনগরের সেই নারী? মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার মূল আসামিসহ গ্রেফতার ৫ মুরাদনগরে ইমাম ও খতিব ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৪নং পূর্ব ধৈইর ইউনিয়ন যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদের ৭ম বার্ষিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠিত বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির প্রথম পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত খামারগ্রাম প্রবাসীদের ঈদ উপহার: দেড় শতাধিক পরিবারের মুখে হাসি বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী যুব কাফেলা ও ছাত্র কাফেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বছরের প্রথম দুই মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার ৯৭ নারী-শিশু গত বছর শিকার হন ৫১৬ জন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ২৫৬২৯৮ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

অনলাইন ডেস্ক

দেশে ২০২৪ সালে ৫১৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ বছর প্রথম দুই মাসেই (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ৯৭ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার এক মতবিনিময় সভায় নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ তথ্য জানান। ১৬টি জাতীয় পত্রিকা এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে নেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘ঢাকায় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নারী ও কন্যার প্রতি বর্তমান ক্রমবর্ধমান সহিংতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বর্তমানে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে এবং এ ব্যাপারে বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়, তা নির্ধারণ করতেই এ সভা। যেহেতু নারী দুর্বল, তাই সবাই তার প্রতি ক্ষমতা প্রদর্শন করে। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বেড়ে যায়। ফলে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘অনেক আইন হওয়ার পর নারীর প্রতি সহিংসতা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। কিন্তু এই সময় হঠাৎ পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলো। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এস এম এ সবুর, মুক্তিযোদ্ধা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহবুব জামান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. আরসাদ চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহিদা চৌধুরী, ঢাবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, এএলআরডি কর্মকর্তা সানজিদা খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ALAMGIR HOSSAIN

মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। সম্পাদক, দেশ আমার ২৪ যোগাযোগ: +880 1747 808 428
ট্যাগস :

বছরের প্রথম দুই মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার ৯৭ নারী-শিশু গত বছর শিকার হন ৫১৬ জন

আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক

দেশে ২০২৪ সালে ৫১৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ বছর প্রথম দুই মাসেই (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ৯৭ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার এক মতবিনিময় সভায় নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ তথ্য জানান। ১৬টি জাতীয় পত্রিকা এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে নেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘ঢাকায় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নারী ও কন্যার প্রতি বর্তমান ক্রমবর্ধমান সহিংতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বর্তমানে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে এবং এ ব্যাপারে বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়, তা নির্ধারণ করতেই এ সভা। যেহেতু নারী দুর্বল, তাই সবাই তার প্রতি ক্ষমতা প্রদর্শন করে। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বেড়ে যায়। ফলে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘অনেক আইন হওয়ার পর নারীর প্রতি সহিংসতা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। কিন্তু এই সময় হঠাৎ পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলো। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এস এম এ সবুর, মুক্তিযোদ্ধা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহবুব জামান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. আরসাদ চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহিদা চৌধুরী, ঢাবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, এএলআরডি কর্মকর্তা সানজিদা খান প্রমুখ।