Bangladesh ০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে “ফিউচার মুরাদনগর” ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে বাঙ্গরা বাজার থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নুরকে দেখতে আসা রেস্ট্রিকটেড করা হয়েছে : রাশেদ খাঁন বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুরাদনগর জামায়াতের গণমিছিল জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি মুরাদনগরে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে বাসচাপায় অটোরিকশা চালকের মৃত্যু, আহত ৫ মুরাদনগরে ১৫৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র কাফেলা মুরাদনগরে মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি

সাইফুল সরকার
  • আপডেট সময় : ০২:২২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / ২৫৬২৬৬ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালুর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই চুক্তিকে জাতির সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ সমঝোতা বাতিল না করে, তাহলে আমাদেরকে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য করা হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “মার্কিন স্বার্থে পরিচালিত জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে স্থাপন করা চলবে না। এটি এ দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত দেশগুলোতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা হয়। অথচ বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ নয়। তা সত্ত্বেও এখানে অফিস খোলার উদ্যোগ জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।”

তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, “সময় নষ্ট না করে আলেম-ওলামা ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের দাবি মেনে নিয়ে জাতিসংঘ অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।”

পীর ছাহেব আরও বলেন, “দেশে ও বিদেশে বহুবার নিরীহ আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন, এমনকি গণহত্যার ঘটনাও ঘটেছে, কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সেসব ঘটনায় কখনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি বা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে এখন তাদের আগ্রহের কারণ কী?”

বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই—জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস বাংলাদেশ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুমন আরমান

মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। পরিচালক ও প্রকাশক দেশ আমার 24 যোগাযোগ: +88 01820503698
ট্যাগস :

জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি

আপডেট সময় : ০২:২২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালুর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই চুক্তিকে জাতির সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ সমঝোতা বাতিল না করে, তাহলে আমাদেরকে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য করা হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “মার্কিন স্বার্থে পরিচালিত জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে স্থাপন করা চলবে না। এটি এ দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত দেশগুলোতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা হয়। অথচ বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ নয়। তা সত্ত্বেও এখানে অফিস খোলার উদ্যোগ জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।”

তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, “সময় নষ্ট না করে আলেম-ওলামা ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের দাবি মেনে নিয়ে জাতিসংঘ অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।”

পীর ছাহেব আরও বলেন, “দেশে ও বিদেশে বহুবার নিরীহ আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন, এমনকি গণহত্যার ঘটনাও ঘটেছে, কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সেসব ঘটনায় কখনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি বা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে এখন তাদের আগ্রহের কারণ কী?”

বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই—জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস বাংলাদেশ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক।”