Bangladesh ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুরাদনগর জামায়াতের গণমিছিল জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চালুর চুক্তিতে ছারছীনা পীরের তীব্র আপত্তি মুরাদনগরে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে বাসচাপায় অটোরিকশা চালকের মৃত্যু, আহত ৫ মুরাদনগরে ১৫৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র কাফেলা মুরাদনগরে মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য কিশোরীর আত্মহত্যা মুরাদনগর উপজেলার গণপিটুনিতে তিনজনের নিহতের ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনের নামে মামলা। মুরাদনগরে ‘ধর্ষণ’ ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব মুরাদনগরের ওয়ার্ড ভিত্তিক বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানিশিল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৫৬৩৭০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গবাদিপশু-চালিত ঘানি তেল শিল্প। একসময় এই ঘানিতে সরিষা ও তিলসহ বিভিন্ন তেলবীজ থেকে উৎপাদিত খাঁটি তেল গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত এই শিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার, মেশিনে তেলের সহজলভ্যতা এবং নতুন প্রজন্মের অনাগ্রহের কারণে ঘানি তেল শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মো. আছিমুদ্দিন (৬৫) তার পৈতৃক সূত্রে ৩৫-৪০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। তার ভাষায়, একসময় প্রতিটি বাড়িতেই তেল ভাঙানোর প্রচলন ছিল। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘানি মেশিন এক বছর ধরে ব্যবহার করা যায় এবং এটি তৈরি করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬ কেজি সরিষা থেকে ২ লিটার তেল এবং ৪ কেজি খৈল পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানিশিল্প

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গবাদিপশু-চালিত ঘানি তেল শিল্প। একসময় এই ঘানিতে সরিষা ও তিলসহ বিভিন্ন তেলবীজ থেকে উৎপাদিত খাঁটি তেল গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত এই শিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার, মেশিনে তেলের সহজলভ্যতা এবং নতুন প্রজন্মের অনাগ্রহের কারণে ঘানি তেল শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মো. আছিমুদ্দিন (৬৫) তার পৈতৃক সূত্রে ৩৫-৪০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। তার ভাষায়, একসময় প্রতিটি বাড়িতেই তেল ভাঙানোর প্রচলন ছিল। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘানি মেশিন এক বছর ধরে ব্যবহার করা যায় এবং এটি তৈরি করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬ কেজি সরিষা থেকে ২ লিটার তেল এবং ৪ কেজি খৈল পাওয়া যায়।