Bangladesh ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার মূল আসামিসহ গ্রেফতার ৫ মুরাদনগরে ইমাম ও খতিব ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৪নং পূর্ব ধৈইর ইউনিয়ন যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদের ৭ম বার্ষিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠিত বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির প্রথম পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত খামারগ্রাম প্রবাসীদের ঈদ উপহার: দেড় শতাধিক পরিবারের মুখে হাসি বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী যুব কাফেলা ও ছাত্র কাফেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফের বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ইন্তেকাল মুরাদনগরে গণপিটুনিতে চোরের মৃত্যু

এবার ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
                পাকিস্তানের মিসাইল। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার জানায়, পাকিস্তানের এই হামলার জবাবে ভারত পাল্টা আক্রমণে লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও অন্যান্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এবং পাকিস্তানের একাধিক স্থানের সামরিক স্থাপনা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা হামলার জবাবে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারত। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের রাডার ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোন, যা মূলত রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি শহরে একযোগে হামলা চালায় ভারত। ভারত দাবি করে, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিনজুড়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আরও বহু ড্রোন হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি হারোপ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের কাছে ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনাও নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, লাহোরের কাছে এক সামরিক স্থাপনায় ভারতীয় ড্রোন হামলায় অন্তত চার সেনা আহত হয়েছেন। সিন্ধু প্রদেশে আরেকটি হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

এএফপি জানায়, লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এসব হামলার পর সামরিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে সাধারণ মানুষ জড়ো হতে দেখা গেছে।

এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, যেখানে দুই সপ্তাহ আগে ২৬ জন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুমন আরমান

মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। পরিচালক ও প্রকাশক দেশ আমার 24 যোগাযোগ: +88 01820503698
ট্যাগস :

এবার ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
                পাকিস্তানের মিসাইল। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার জানায়, পাকিস্তানের এই হামলার জবাবে ভারত পাল্টা আক্রমণে লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও অন্যান্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এবং পাকিস্তানের একাধিক স্থানের সামরিক স্থাপনা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা হামলার জবাবে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারত। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের রাডার ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোন, যা মূলত রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি শহরে একযোগে হামলা চালায় ভারত। ভারত দাবি করে, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিনজুড়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আরও বহু ড্রোন হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি হারোপ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের কাছে ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনাও নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, লাহোরের কাছে এক সামরিক স্থাপনায় ভারতীয় ড্রোন হামলায় অন্তত চার সেনা আহত হয়েছেন। সিন্ধু প্রদেশে আরেকটি হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

এএফপি জানায়, লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এসব হামলার পর সামরিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে সাধারণ মানুষ জড়ো হতে দেখা গেছে।

এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, যেখানে দুই সপ্তাহ আগে ২৬ জন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।