মুরাদনগরে বাজারের ইজারা না পেয়ে বিএনপি’র ক্ষোভ প্রকাশ: বৈষম্যবিরোধীরা চায় ইজারা মুক্ত

- আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার মুরাদনগরে হাট-বাজারের ইজারা না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি হাট-বাজার ইজারার নামে চলে ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদাবাজি। তাই হাট-বাজার ইজারা মুক্ত করতে স্মারকলিপি দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের বরাবর।
জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলার ছোট-বড় ২৯ টি হাট-বাজারের মধ্যে ১৮ টি বাজারের ইজারা পেতে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে আবেদন জমা করা হয় উপজেলা প্রশাসন বরাবর। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট-বাজার ইজারা দেয়ার তালিকা প্রকাশ না করায়। ইজারা আবেদনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
ফেসবুক থেকে নেয়া, নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘যে বৈষম্যের জন্য ৫ই আগষ্ট লক্ষ লক্ষ জনতা রাজপথে রক্ত দিয়েছিলাম। আজ মুরাদনগরে সেই বৈষম্যের শিকার আমরা।
মুরাদনগর উপজেলার হাট-বাজার ইজারার ডাক ছিল আজ। প্রতি বছর ন্যায় আজকের দিনে জনসম্মুখে কে কত টাকা ব্যাংক ড্রাফট করেছে এবং সর্বোচ্চ ব্যাংক ড্রাফট করা ব্যক্তি ইজারাদার হিসেবে গন্য হবে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার কথা ছিল। প্রতিবছর এই নিয়মেই মুরাদনগর উপজেলার হাট-বাজার ইজারা হতো।
যানিনা, কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা সরাসরি প্রকাশ না করে ব্যাংক ড্রাফট গুলো সঙ্গে নিয়ে গেলো। বলে গেলো মূল্যায়ন কমিটি এইগুলা মূল্যায়ন করে তারপর প্রকাশ করা হবে।’’
তবে এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ভিন্ন তথ্য। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আবদুর রহমান বলেন, হাট-বাজারের ইজারা পেতে আবেদনকারীরা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে আমাদের কাছে আবেদন করে থাকেন। পরবর্তীতে সেটিকে আমরা মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে ইজারা দিয়ে থাকি। এখানে একটি পক্ষ চাচ্ছে বিগত দিনের ন্যায় কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই একদিনের মধ্যেই ইজারা দিয়ে দিতে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে মুরাদনগর উপজেলার সকল হাট-বাজারের ইজারা মুক্ত করে দেয়ার জন্য, মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। আমি সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। সেটিও এখন ভাবার বিষয়। যদি এখন হাট-বাজার ইজারা দিয়ে ফেলি। পরে যদি কোন কারনে হাট-বাজার ইজারা মুক্ত করে দেয়া হয় তখন অনেক সমস্যা হয়ে যাবে। তাই সব কিছু ভেবেচিন্তেই এটির সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক উবায়দুল হক সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে হাট-বাজারের ইজারা এনে ব্যবসায়ীদের ওপর এক ধরনের চাঁদাবাজি করা হয়। মূলত যেই প্রক্রিয়ায় ইজারা সংগ্রহ করার কথা থাকে, সেটির তোয়াক্কা না করে নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া হয় অধিক চাঁদা। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে সাধারণ কৃষক ও সাধারণ জনগণের উপর। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের বরাবর আবেদন করেছি মুরাদনগর উপজেলার সকল হাট-বাজার যেন ইজারা মুক্ত করে দেয়া হয়।