মুরাদনগরে রাতের আঁধারে ধনীরামপুর ডি.ডি.এস ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

- আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট:
শুক্রবার দিবাগত রাতে বিদ্যালয়ের ৭টি কক্ষ থেকে ২৬টি ফ্যান চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
রাতে নৈশপ্রহরী না থাকায় বিদ্যালয়টি অরক্ষিত অবস্থায় থাকার বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কর্তব্য কাজে ও দায়িত্বে অবহেলার শামিল বলে মনে করছেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন আহমেদ।
বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আইন-শৃংখলা বিষয়ক সভায় দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা বিদ্যালয় গুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান তাদের নিজে বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চত করতে হবে। সেই আলোকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করে চিঠিও প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক কতটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন তার বিদ্যালয়ে নস্ব্য প্রহরী নেই এবং এত বড় একটি চুরির ঘটনা কোনটাই আমাকে জানানো হয়নি।
বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তার পাশাপাশি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন,
এদিকে এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় থেকে মাদকাসক্ত অবস্থায় পারভেজ নামের এক যুবককে আটক করে গ্রামবাসী। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ধনিরামপুর গ্রামের রনি নামের আরেক যুবককে আটক করে দুজনকে মুরাদনগর থানা হেফাজতে দেয়া হয়।
আটকৃত পারভেজ মুরাদনগর উপজেলা সদরের ঘোড়াশাল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে এবং রনি ধনীরামপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, আটককৃত রনির বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর আসামি পারভেজের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।