Bangladesh ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে সেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা মাসুক আহ্বায়ক ও গিয়াস উদ্দিন সদস্য সচিব মুরাদনগরে ৪০ জন গ্রাম পুলিশকে মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন মুরাদনগরে আন্দিকুট ইউনিয়ন বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত তা’লীমে হিযবুল্লাহ’র উদ্যোগে কুমিল্লা টাউন হলে ইছালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লার বাঙ্গরা উপজেলা দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় গ্ৰিডে গ্যাস সরবারহ বন্ধের হুমকি মুরাদনগর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ৪ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত বাঙ্গরা উপজেলা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ৫নং পূর্ব ধ‌ইর ইউনিয়নে সমাবেশ অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা । বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক এমপি কায়কোবাদ-এর সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা ফারুকীর পাশে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

হঠাৎ কেন মামলা চালিয়ে যেতে চান কুমিল্লা মুরাদনগরের সেই নারী?

SAYFUL SARKER
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / ১৫৬৩০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রথম দিকে মামলা প্রত্যাহার করতে চাইলেও এবার ন্যায় বিচারের দাবিতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন কুমিল্লার আলোচিত ভুক্তভোগী সেই নারী।

সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন  তিনি।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে স্থানীয় আবুল কালাম ও মুকুল মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। তারা বলেন, মামলা না তুললে আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের বাড়ি থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে। আমি ভীত হয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন বুঝেছি আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।

তিনি  বলেন, আমি চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

এর আগে, তিনি জানিয়েছিলেন, পারিবারিক কারণে ও সামাজিক কারণে মামলা আর চালাতে চান না তিনি। মামলা তুলে নিতে চান।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তাকে বলেছেন, সম্মান তো চলেই গেছে এখন মামলা করলে কি সেই সম্মান ফিরে আসবে? আসবে না।

ওই নারী বলেন, ‘মামলা করছিলাম ভালার লাইগা। অহন জামাইয়ে না করে। মামলাটা যখন করছি জামাই আমার লগে রাগারাগি কইরা কথা বলে নাই। গেরামের লগেও বুঝতে পারি নাই। স্বামী এইসব শুইনা, দেইখা অহন ফোনই দেয় না।’

 

উল্লেখ্য , গত ২৭ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচরে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ২৯ জুন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত নারী ২৮ জুন শুক্রবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন।

এরপর শনিবার (২৯ জুন) ফজরসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজন মো. আলী সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুমন আরমান

মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। পরিচালক ও প্রকাশক দেশ আমার 24 যোগাযোগ: +88 01820503698

হঠাৎ কেন মামলা চালিয়ে যেতে চান কুমিল্লা মুরাদনগরের সেই নারী?

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

প্রথম দিকে মামলা প্রত্যাহার করতে চাইলেও এবার ন্যায় বিচারের দাবিতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন কুমিল্লার আলোচিত ভুক্তভোগী সেই নারী।

সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন  তিনি।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে স্থানীয় আবুল কালাম ও মুকুল মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। তারা বলেন, মামলা না তুললে আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের বাড়ি থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে। আমি ভীত হয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন বুঝেছি আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।

তিনি  বলেন, আমি চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

এর আগে, তিনি জানিয়েছিলেন, পারিবারিক কারণে ও সামাজিক কারণে মামলা আর চালাতে চান না তিনি। মামলা তুলে নিতে চান।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তাকে বলেছেন, সম্মান তো চলেই গেছে এখন মামলা করলে কি সেই সম্মান ফিরে আসবে? আসবে না।

ওই নারী বলেন, ‘মামলা করছিলাম ভালার লাইগা। অহন জামাইয়ে না করে। মামলাটা যখন করছি জামাই আমার লগে রাগারাগি কইরা কথা বলে নাই। গেরামের লগেও বুঝতে পারি নাই। স্বামী এইসব শুইনা, দেইখা অহন ফোনই দেয় না।’

 

উল্লেখ্য , গত ২৭ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচরে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ২৯ জুন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত নারী ২৮ জুন শুক্রবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন।

এরপর শনিবার (২৯ জুন) ফজরসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজন মো. আলী সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।