Bangladesh ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফের বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ইন্তেকাল মুরাদনগরে গণপিটুনিতে চোরের মৃত্যু কুমিল্লার সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের এপিএস আব্দুল কাদের ঢাকায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এবার ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দশ টাকায় আহার পেলেন সাড়ে ৪শত মানুষ মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ চাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মুরাদনগরে পরীক্ষায় নকল সরবরাহে দুই যুবকের কারাদণ্ড সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

তামিমকে বিদায় সংবর্ধনা বিসিবির

সাইফুল সরকার
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে


দেশের ক্রিকেটের কিংবদন্তির তকমা পেয়েছেন আরও আগেই। তবে ক্রিকেট মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার সুযোগ হয়নি তামিম ইকবালের। বিপিএলের মাঝপথে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটার। বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ শেষে এবার তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিল বিসিবি।
তামিমকে বিদায় সংবর্ধনা বিসিবির

অধিনায়ক হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার বরিশালকে শিরোপা জেতানোর পর বিসিবির কাছ থেকে বিদায় সংবর্ধনা পেয়েছেন তামিম। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিদায়ী ক্রেস্ট ও উপহার দিয়েছে বিসিবি।

আগে থেকেই তামিমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল বিসিবি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) ফাইনাল শেষে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় তামিম ইকবালকে নিয়ে তৈরি করা বিশেষ ভিডিও। যেখানে দেশসেরা এই ওপেনারকে নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ জাকির হোসেন, তানজিম হোসেন সাকিব ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির মতো তরুণ তারকারা। ক্যামেরার সামনে ছিলেন তামিম ইকবালের একসম

পরে তামিম ইকবালকে বিদায়ের পোডিয়ামে ডেকে নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে। অবশ্য বিদায়ী সংবর্ধনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পোডিয়ামে সঙ্গে রেখেছেন তামিম।

বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম ইকবালের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পরিসংখ্যান সম্বলিত একটি স্মারক জার্সি এবং ক্রেস্ট।

বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন শিরোপা জিতল। পুরো বাংলাদেশের উপভোগটা ছিল অসাধারণ। ওই দিনই ঠিক করলাম, আমি ক্রিকেটার হব। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল, একদিন আমি দেশের হয়ে খেলব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।’

তামিম আরও বলেন, ‘ ‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক। এটা (নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ভক্ত হওয়া) বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। দয়া করে এটা থামান। আমরা যে কারও সমর্থক হতে পারি, কিন্তু সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমার শেষ বার্তা।’

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তিন সংস্করণ মিলে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

SAYFUL SARKER

পরিচালক ও প্রকাশক দেশ আমার24 মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। +60183576704

তামিমকে বিদায় সংবর্ধনা বিসিবির

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


দেশের ক্রিকেটের কিংবদন্তির তকমা পেয়েছেন আরও আগেই। তবে ক্রিকেট মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার সুযোগ হয়নি তামিম ইকবালের। বিপিএলের মাঝপথে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটার। বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ শেষে এবার তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিল বিসিবি।
তামিমকে বিদায় সংবর্ধনা বিসিবির

অধিনায়ক হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার বরিশালকে শিরোপা জেতানোর পর বিসিবির কাছ থেকে বিদায় সংবর্ধনা পেয়েছেন তামিম। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিদায়ী ক্রেস্ট ও উপহার দিয়েছে বিসিবি।

আগে থেকেই তামিমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল বিসিবি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) ফাইনাল শেষে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় তামিম ইকবালকে নিয়ে তৈরি করা বিশেষ ভিডিও। যেখানে দেশসেরা এই ওপেনারকে নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ জাকির হোসেন, তানজিম হোসেন সাকিব ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির মতো তরুণ তারকারা। ক্যামেরার সামনে ছিলেন তামিম ইকবালের একসম

পরে তামিম ইকবালকে বিদায়ের পোডিয়ামে ডেকে নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে। অবশ্য বিদায়ী সংবর্ধনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পোডিয়ামে সঙ্গে রেখেছেন তামিম।

বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম ইকবালের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পরিসংখ্যান সম্বলিত একটি স্মারক জার্সি এবং ক্রেস্ট।

বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন শিরোপা জিতল। পুরো বাংলাদেশের উপভোগটা ছিল অসাধারণ। ওই দিনই ঠিক করলাম, আমি ক্রিকেটার হব। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল, একদিন আমি দেশের হয়ে খেলব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।’

তামিম আরও বলেন, ‘ ‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক। এটা (নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ভক্ত হওয়া) বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। দয়া করে এটা থামান। আমরা যে কারও সমর্থক হতে পারি, কিন্তু সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমার শেষ বার্তা।’

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তিন সংস্করণ মিলে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।