Bangladesh ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে সেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা মাসুক আহ্বায়ক ও গিয়াস উদ্দিন সদস্য সচিব মুরাদনগরে ৪০ জন গ্রাম পুলিশকে মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন মুরাদনগরে আন্দিকুট ইউনিয়ন বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত তা’লীমে হিযবুল্লাহ’র উদ্যোগে কুমিল্লা টাউন হলে ইছালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লার বাঙ্গরা উপজেলা দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় গ্ৰিডে গ্যাস সরবারহ বন্ধের হুমকি মুরাদনগর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ৪ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত বাঙ্গরা উপজেলা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ৫নং পূর্ব ধ‌ইর ইউনিয়নে সমাবেশ অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা । বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক এমপি কায়কোবাদ-এর সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা ফারুকীর পাশে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

সুদ-ঘুষের বয়ান করায় ইমামকে পেটালেন সেক্রেটারি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / ১৫৬৩০২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে আলোচনা চলাকালে দুই শিক্ষক কর্তৃক ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ইমামের সমর্থকরা প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেন।

শুক্রবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের খন্দকার বাড়ির জামে মসজিদের হুজরাখানায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইমাম মো. হাসান মুরাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা।

তিনি চান্দিনার বানিয়াচং খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হামলাকারীরা হলেন চান্দিনার বানিয়াচং গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মো. নূরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। নূরুল ইসলাম ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অন্যদিকে জাকির হোসেন খোববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম শুক্রবার খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ কমিটির সদস্যরা তাকে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরই মসজিদের মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে তাকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় ইমামের ওপর হামলাকারী দুই শিক্ষক এবং ইউপি মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে।

ইমাম মো. হাসান মুরাদ বলেন, ‘আমি সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলি। আর এটাকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না হাতে গোনা কয়েকজন। আমি তাদের অনুরোধ করে বলেছি, আমি রমজান মাস থেকে নিজেই চলে যাব। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান।’

এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, ‘ওই ইমামকে এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করছে না।

মুসল্লিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। শনিবার তাকে আমরা বুঝিয়ে বিদায় করতে গেলে তিনি আমার চোখে আঘাত করেন।’

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘ইমামকে মারধরের ঘটনার পর এলাকাবাসী কিছু ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করেছে। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তদন্ত চলছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ALAMGIR HOSSAIN

মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা। সম্পাদক, দেশ আমার ২৪ যোগাযোগ: +880 1747 808 428
ট্যাগস :

সুদ-ঘুষের বয়ান করায় ইমামকে পেটালেন সেক্রেটারি!

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক

মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে আলোচনা চলাকালে দুই শিক্ষক কর্তৃক ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ইমামের সমর্থকরা প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেন।

শুক্রবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের খন্দকার বাড়ির জামে মসজিদের হুজরাখানায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইমাম মো. হাসান মুরাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা।

তিনি চান্দিনার বানিয়াচং খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হামলাকারীরা হলেন চান্দিনার বানিয়াচং গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মো. নূরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। নূরুল ইসলাম ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অন্যদিকে জাকির হোসেন খোববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম শুক্রবার খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ কমিটির সদস্যরা তাকে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরই মসজিদের মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে তাকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় ইমামের ওপর হামলাকারী দুই শিক্ষক এবং ইউপি মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে।

ইমাম মো. হাসান মুরাদ বলেন, ‘আমি সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলি। আর এটাকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না হাতে গোনা কয়েকজন। আমি তাদের অনুরোধ করে বলেছি, আমি রমজান মাস থেকে নিজেই চলে যাব। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান।’

এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, ‘ওই ইমামকে এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করছে না।

মুসল্লিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। শনিবার তাকে আমরা বুঝিয়ে বিদায় করতে গেলে তিনি আমার চোখে আঘাত করেন।’

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘ইমামকে মারধরের ঘটনার পর এলাকাবাসী কিছু ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করেছে। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তদন্ত চলছে।’